গ্রহনযোগ্য জীবনবৃত্তান্ত লেখার নিয়ম
কালানুক্রমিকভাবে আপনার জীবনবৃত্তান্ত সাজানো আপনার দক্ষতা দেখানোর সবচেয়ে ভালো উপায় নয়। অনেক চাকরিপ্রার্থী এই প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন এবং এটি আপনার জন্য সঠিক হতে পারে,কিন্তু আপনি যদি পেশা পরিবর্তন বা কর্মক্ষেত্রে পুনরায় প্রবেশ করেন তাহলে জীবন বৃত্তান্ত তৈরির জন্য একটি ভিন্ন্ কৌশল উত্তম হতে পারে। এখানে প্রচলিত তিনটি জীবনবৃত্তান্ত তৈরির উদাহরণ এবং কীভাবে এগুলো আপনার চাহিদাসমূহ উত্তমরূপে উপস্হাপন করতে পারে তা দেখানো হলো। চাকুরিদাতাদের কাছে কালানুক্রমিক জীবনবৃত্তান্ত যাচাই করা একটা সহজ মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ থেকে কাজের ইতিহাস এবং তাদের দ্রুত কর্মসংস্থানের মধ্যকার ফাঁক সনাক্ত করা সহজ হয়ে থাকে। অভিজ্ঞ প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্তে কাজের ইতিহাসের তালিকাটি হয় ওপরের বিপরীত ভাবে অর্থাৎ সাম্প্রতিক কাজ দিয়ে শুরু হয় । উদাহরণস্বরূপ ...
উপযুক্ত হবে, যখন:
- সর্বশেষ চাকরিক্ষেত্র এবং পদবি উল্লেখ্যযোগ্য হবে।
- কাজকর্ম রেকর্ড অটল থাকে।
- লক্ষ্য এবং বিষয়বস্তু সুনির্দিষ্ট হবে।
- কর্মক্ষেত্র এক রকম হবে।
- পূর্বতন কাজের ইতিহাস অগ্রগতি দেখাবে।
অনুপযুক্ত হবে, যখন:
প্রচলিত না হলেও ফলপ্রসূ পদ্ধতি, তা হলো কার্যকরী জীবনবৃত্তান্তের ক্ষেত্রে তথ্য কালানুক্রমের পরিবর্তে দক্ষতা এবং প্রাপ্যতা হিসেবে প্রদান করা হয়. যেমন: বিক্রয়, কারিগরী বা ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উপরে গুরুত্ব আরোপ জন্য প্রায়ই উপশিরোনাম ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ ...
- সাম্প্রতিক কাজে ব্যবহৃত যোগ্যতার উপর জোর না দেওয়া।
- পেশা পরিবর্তন।
- অস্থায়ী কাজের রেকর্ড।
- আপনার প্রথম চাকরি খুঁজছেন।
- বয়স কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা।
- চাকরি পরিবর্তনের মধ্যকার ফাঁক বেশী হলে।
- চাকরি থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দূরে থাকলে।
উপযুক্ত হবে, যখন:
- কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন।
- কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
- কাজের ইতিহাসের বিপরীতে কাজের গুণাবলীর উপর নজর দিতে পছন্দ করা৷
- কর্মক্ষেত্রে উন্নতি অগ্রগতি না হলে।
- পুনরায় চাকরিতে নিয়োগ হলে।
- অনেকদিন ধরে একই পদবিতে নিযুক্ত থাকলে।
- বিভিন্ন ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে।
- স্বাধীন পেশা, পরামর্শমূলক পেশার সাথে সম্পৃক্ত থাকলে।
- কর্মসংস্থানের মধ্যে ফাঁক কমানো৷
- শিল্পউদ্যোক্তাদের করপোরেট জগতে ফিরে আসা৷
অনুপযুক্ত হবে, যখন:
এই ধরনের জীবনবৃত্তান্ত কালানুক্রম এবং কাজের বর্ণনার সংমিশ্রন, যেখানে কাজের ইতিহাস,সাফল্য ও বাজারজাতকরণের যোগ্যতা সব একত্রে রাখা হয়। উপশিরোনাম ব্যবহার করা হয় সব দক্ষতা ফুটিয়ে তোলার জন্য , অন্যদিকে কাজের ইতিহাসকে আলাদা করে রাখা হয় ছোট একটি অংশ নিয়ে। এই ধরনের গঠন ব্যবহার করা হয় যখন কেউ কর্ম প্রাধান্যমূলক জীবনবৃত্তান্ত তৈরী করতে চায় এবং অবশ্যই আপনি কি-ওয়ার্ড এবং দক্ষতার জন্য অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ ...
- পদোন্নতি ও ক্যারিয়ার এর সাফল্য সুনির্দিষ্ট করার ইচ্ছা।
- সাফল্য অর্জনের অভাব।
- কর্ম অভিজ্ঞতা না থাকলে।
- পূর্বতন কর্মক্ষেত্রের চাকরিদাতা মর্যাদাপূর্ণ হলে।
উপযুক্ত হবে, যখন:
- সাফল্যমন্ডিত কাজের রেকর্ড।
- দক্ষতা ও সাফল্যের ধরণ।
- একই কর্মক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা।
- একই পদবিতে দীর্ঘদিনের কর্ম অভিজ্ঞতা।
- কাজের ইতিহাস কমানো এবং স্থানান্তরণীয় দক্ষতা তুলে ধরার চেষ্টা করা।
অনুপযুক্ত হবে, যখন:
আপনার জীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে আপনার সম্পর্কে জানার অন্যতম মাধ্যম একজন নিয়োগদাতার কাছে। কিন্তু অনেক চাকরিপ্রার্থী পূর্ণ মনোযোগ এবং যত্নের সাথে জীবনবৃত্তান্ত তৈরী করে না। যার কারণে অনেক দক্ষ চাকরিপ্রার্থী নিয়োগদাতাদের কাছ থেকে সাক্ষাৎকারের ডাক পায় না এবং তাদের মধ্যকার যোগ্যতাও দেখাতে পারে না।
- প্রতিষ্ঠিত কর্ম ইতিহাসের অভাব।
- ক্যারিয়ারের অর্জনের সুনির্দিষ্ট রেকর্ড না থাকলে।
- কর্মক্ষেত্রে নতুন হলে।
Search jobs by
ক্যারিয়ার রিসোর্স
- সাক্ষাৎকার টিপস
- জীবনবৃত্তান্ত লিখন টিপস
- কভার লেটার
- প্রতিবেদন
- ক্যারিয়ার পরামর্শ
- ক্যারিয়ার গাইড